বৃষ্টির জেরে গৃহস্থের বাড়ির একাংশ ভেঙে জখম বৃদ্ধা

26th May 2021 11:05 pm বর্ধমান
বৃষ্টির জেরে গৃহস্থের বাড়ির একাংশ ভেঙে জখম বৃদ্ধা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :ঝড় বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎতই এক গৃহস্থের পুরানো দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় জখম হলেন এক বৃদ্ধা। বুধবার বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে শহর বর্ধমানের ৩ নম্বর ইছলাবাদে । 
পরিবার পরিজন ও স্থানীয়রা দ্রুত ওই বাড়ির ভেঙে পড়া অংশ সরিয়ে বৃদ্ধা পূর্ণিমা মুখোপাধ্যায় কে উদ্ধার করেন।বৃদ্ধাকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এই খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ অধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌছে সবিস্তার খতিয়ে দেখেন। প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নিয়ে বাড়ির ভেঙে পড়া অংশ পরে ঘিরে দেওয়া হয়।অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিবারের বাকি লোকজনকে । বৃদ্ধার ছেলে শান্তিব্রত মুখোপাধ্যায়  জানিয়েছেন,তাঁদের বাড়িটি অনেক বছরের পুরনো। ১৯৬৫ সালের তৈরি হয়েছিল তাঁদের বাড়িটি ।এদিন বেলায় ’ইয়াসের’ প্রভাবে দমকা ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়।সেই সময়ে তাঁর মা পূর্ণিমাদেবী ছাদে পড়ে থাকা কিছু হয়তো তুলে আনতে গিয়েছিলেন। তখনই দমকা হাওয়ার জেরে বাড়ির একংশের পরিত্যক্ত ছাদ ভেঙে পড়ে। ছাদ  ভেঙে পড়ার পর তিনি তাঁর মাকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপর বাড়ির ভেঙে পড়া অংশের মধ্য থেকে তাঁদের মায়ের আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যায়  তারপরেই স্থানীয় লোকজন ও  পরিবারের সবাই মিলে ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ সরিয়ে বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করেন বলে শান্তিব্রত বাবু জানিয়েছেন । একই সঙ্গে তিনি জানান ,তাঁর বৃদ্ধা মা এখন  বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । তাঁরা পরিবারের সবাই এখন অন্যত্র ঠাঁই নিয়েছেন ।  এলাকার বাসিন্দা শেখ আকবর জানান,দমকা  হওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হতেই শান্তিব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির একাংশ হঠাৎতই হড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ।ভেঙে পড়া সেই বাড়ির অংশে বৃদ্ধা চাপা পড়ে আছেন দেখার পরেই তাঁরা সবাই  উদ্ধার কাজে হাত লাগান । জখম অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।অতিরিক্ত জেলা শাসক অনির্বান কোলে বলেন,’বৃদ্ধার চিকিৎসার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙে কথা বলা হয়েছে ।পাশাপাশি দুর্যোগ পরিস্তিতিতে  ওই বাড়িটির ভেঙে পড়া অংশ  ঘিরে দেওয়া হয়েছে’ । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।